একবিংশ শতাব্দীর মহান শাসক : মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর মুজাহিদ [রহিমাহুল্লাহ]
একবিংশ শতাব্দীর
মহান শাসক : মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর মুজাহিদ [রহিমাহুল্লাহ]
২৪ শে এপ্রিল ২০১৩।
মুসলিম উম্মাহ এ দিনে একবিংশ শতাব্দীর এক মহান নেতাকে হারিয়েছিল। এ দিনটিতে উম্মাহর
ক্ষতবিক্ষত শরীরে আরেকটি আঘাতের যোগ হয়। আজ থেকে ছয় বছর পূর্বে এ দিনে ইমারতে ইসলামিয়া
আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা রাহবর, আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর মুজাহিদ [রহিমাহুল্লাহ]
আফগানিস্তানসহ পুরো বিশ্বের মজলুম মুসলমানদের দরদ ও ব্যথা বুকে নিয়ে ক্ষণস্থায়ী এ ছেড়ে
আখেরাতের পথে যাত্রা করেন।
আর সেজন্যই এটি কেবল
একটি বছরই নয় বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি একজন মহান নেতাকে হারানোর দিন। আমরা সবসময়
তার উত্তম বিকল্পের জন্য আল্লাহ তা’আলার নিকট দুআ করি।
মরহুম আমীরুল মুমিনীন
ছিলেন একবিংশ শতাব্দির এক বিরল ব্যক্তিত্ব। তার সততা, আত্মমর্যাবোধ, স্বাধীনচেতা মনোভাব,
ইসলামপ্রিয়তা এবং উম্মাতে মুসলিমার কল্যাণের চেতনা সম্পর্কে পুরো বিশ্ব অবগত। তিনি
বর্তমান শতাব্দির এমন একজন শাসক ছিলেন যিনি আল্লাহর তা’আলার কালেমাকে বুলন্দ করার জন্য
তার শাসনক্ষমতাকে উৎসর্গ করেছিলেন। তার শাসনামলের প্রতিটি মুহূর্ত ঐতিহাসিক ঘটনাবলীতে
পরিপূর্ণ। তিনি তার শাসনক্ষমতাবলে ভূপৃষ্ঠে পুনরায় শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়েছিলেন।
ফলে আফগানিস্তানের প্রতিটি অঙ্গনে ইসলামী ব্যবস্থাপনা চালু হয়েছিল। আফগানের অর্থব্যবস্থা,
স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সকল বিষয় কুরআন, সুন্নাহ ও ইসলামী ফিকহের
আলোকে সমাধান করা হতো।
ভিনদেশী কুফরী জোটের
বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠিন এবং নাজুক পরিস্থিতে তিনি অলৌকিভাবে বারো বছর সশস্ত্র জিহাদী
সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত সমরকৌশল দেখে ইউরোপীয় সামরিক একাডেমীসমূহের
বিশেষজ্ঞরা ছিল হতভম্ব। আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের পদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে
গৃহীত সকল পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
আমীরুল মুমিনীন
[রহিমাহুল্লাহ] নিজ এলাকার একটি কাঁচা ঘর থেকে অলৌকিকভাবে বারো বছর তালেবান জিহাদের
নেতৃত্ব দিয়েছেন। বারো বছরের জিহাদী নেতৃত্বকালে যুগের উন্নত প্রযুক্তি ও শত্রুদের
তৈরী যানবাহন ব্যবহার থেকে তিনি দূরে ছিলেন। তিনি বিশেষ পদ্ধতিতে মুজাহিদদের সাথে সার্বক্ষণিক
যোগাযোগ রাখতেন। শত্রুরা কখনো তার অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি এবং দায়িত্বশীল মুজাহিদদের
সাথে তার যোগাযোগপদ্ধতি সম্পর্কেও জানতে সক্ষম হয়নি। অবশেষে ২৪ শে এপ্রিল ২০১৩ তারিখে
দীর্ঘ অসুস্থতার পর উম্মাহর এই ক্ষণজন্মা মহামনীষী প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রজীঊন।
এই মহান নেতার বিয়োগে
আজকের দিনটি যদিও উম্মাতে মুসলিমার জন্য শোকাবহ তথাপি তার হাতেগড়া কাফেলার বর্তমান
সেপাহসালারও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন, বিধায় উম্মাতে মুসলিমা হতাশ হবেন না। ইনশাআল্লাহ
সূত্র : ইমারাতে
ইসলামিয়া আফগানিস্তান [তালেবান] এর পরিচালিত উর্দূ ওয়েবসাইট -http://alemarahurdu.net/?p=45420

No comments